বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। এখানে রয়েছে যার যার সাজানো ছোট টিলা ও পাহাড়। এটি কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা। কক্সবাজার থেকে ১২ কিমি দূরের এই দ্বীপেটির আয়তন ৩৮৯ বর্গ কিমি। মহেশখালী দ্বীপটি সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা দ্বীপ নিয়ে গঠিত। প্রায় ৪০০ বছর আগে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূভন্ড থেকে পৃথক হয়ে জন্ম হয় এই দ্বীপের। এ প্রতিটি কোণে রয়েছে বহুকালের উতিহাস, রয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য্য । রয়েছে মৈনাক পর্বতে অবস্থিত আদিনাথ মন্দির, আদিনাথ জেটি ও রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ মন্দির
এই দ্বীপের বাসিন্দারা প্রায় সবাই কৃষিজীবি অথবা মৎস্য। পান, লবণ , শুটকী, চিংড়ি, কাঁকাড়া এবং মুক্তা চাষ করেই মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। দ্বীপটি লবণ ও পান ব্যবসার প্রাণক্নেদ্র । এছাড়া রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ বালি। মহেশখালী উপজেলার পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব দিকে রয়েছে চ্যানেল । এছাড়া বাঁকখালী নদী মহেশখালী উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত দিয়ে শুরু হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক প্রবাহিত হয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলে মিশেছে।
মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও এক সময় হাতি, বাঘ, হরিণ, বানর, ভালুক, বিভিন্ন প্রকারের সাপ, পরিযায়ী পাখি, দেশীয় পাখিসহ বিভিন্ন প্রকারের জীবজন্তুর চারণভূমি ছিলো মহেশখালী।
No comments:
Post a Comment