Monday, December 16, 2024

ছিটমহল

একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে প্বার্শবর্তী বা সীমান্তবর্তী অন্য কোন স্বাধীন দেশের বিচ্ছিন্নভাবে থেকে যাওয়া অন্যদেশের ভূ-খন্ড। বাংলাদেশের ও ভারতের ইতিহাস ও ভূগোলের সাথে মিশে আছে ছিটমহল সমস্যা। ভারতের মধ্যে বাংলাদেশের ও বাংলাদেশের মধ্যে ভারতের কিছু সাবেক ভূখন্ড ছিটমহল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ ধরণের ১৬২ টি ভূখন্ড এক একটি ছিটমহল হিসেবে পরিচিত ছিল। এর মধ্যে ১১১ টি ভারতীয় ছিটমহল এবং ৫১ টি বাংলাদেশি ছিটমহল ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল। 

এ ১৬২ টি ছিটমহল অধিবাসীদের ‘ছিটের মানুষ’ বলে ডাকা হতো। মূল ভূখন্ডের সাথে যোগাযোগ থাকলেও ছিটমহলবাসীর ছিলোন কোন দেশ, না ছিল জাতীয়তার কোন পরিচয়। বাংলাদেশ যেমন এতদিন এদের নাগরিকত্ব দেয়নি, তেমনি দেয়নি ভারতও। পড়াশোনা, জীবিকা সবকিছুতেই তারা পরনির্ভরশীল ছিলো। মানুষের সৃষ্ট অদ্ভুত এক সীমানা বিভাজনের কারণে জীবনের প্রতিটি পদে, প্রতিটি মুহূর্তে এখানে মানবধিকার লঙ্ঘিত হতো। এখানে দিনযাপন গ্লানির। নিজ দেশে পরবাসী ছিটমহলবাসীর ছিলোনা কোন আইনী সুরক্ষা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত ছিটমহলবাসী বেঁচে থাকত কেবল দয়া আব করুণানির্ভর জীবন নিয়ে। অবশেষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ‘স্থল সীমান্ত চুক্তি’ উভয় দেশের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার মাধ্য্মে দীর্ঘ ৬৮ বছর পরে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয় ছিটমহলগুলোতে। চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হয় ১ আগস্ট, ২০১৫।

যেসব জেলাগুলোতে ছিটমহলগুলো অবস্থিত ছিলো:
 বাংলাদেশ – পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম
 ভারত – জলপাইগুড়ি, কুচবিহার


No comments:

Post a Comment