বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের চিত্র নিম্নরুপ:
ঐতিহ্যগত সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক অনেক পুরনো ও ঐতিহ্যগত । ইুতহাস প্রসিদ্ধ সিল্ক রোড বাংলাদেশকে চীনের সাথে যুক্ত করেছিলো।
স্বাধীনতা পরবর্তী সম্পর্ক:
১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এ স্বীকৃতি দানের মধ্যে দিয়েই দীর্ঘ বিরতির পর চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনরায় নতুন মাত্রা পায়। মূলত সেই সময়েই চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক:
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেন। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং ২৪০০ কোটি টাকা ডলার সহায়তা এবং বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশ ও চীন উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থপণা, কর্ণফুলি টানেল, নির্মাণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহযোগীতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৭ টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করে। উল্লেখ্য চীন বর্তমানে সবচেয়ে বেশী বিনিয়োগ করে থাকে। অর্থের হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে চীন থেকে।
বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে পদক্ষেপ:
বন্ধুদেশ চীনের সাথে বাংদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের হলেও বিগত সরকার এবং বর্তমান সরকারের সময়ে তা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কোন কাজে আসেনি। সরকারের এ ব্যাপারে আরো কৌশলী হতে হবে।
সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি:
বাংলাদেশ চীনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখঅর মাধ্যমে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। ২০০২ সাল থেকেই চীন বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা করে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ চীনের নিকট থেকে দুটি সাবমেরিন ক্রয় করেছে।
সামরিক শক্তির আধুনিকায়:
চীন বাংলাদেশের সামরিক শক্তির আধুনিকায়নের জন্যও সহায়তা করে আসছে। সেনাবাহিনী আধুনিকায়ন, সীমান্ত এলাকায় শরণার্থী প্রবেশ এবং সীমান্ত সন্ত্রাশ ঠেকাতে সাহায্য করছে।
চুক্তি সম্পাদন:
চীনের সাথে বিভিন্ন ধরণের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে সম্প্রতি বাংলাদেশ বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করছে। সম্প্রতি চীন বাংলাদেশে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে । সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নও সহায়তা করছে।
Thursday, December 26, 2024
ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের চিত্র
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment