বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এবং টেকনাফ সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৮ কিমি দূরে বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৮ কিমি এলাকাজুড়ে দ্বীপটির অবস্থান। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে আকর্ষনীয় স্থান হিসেবে সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপ সুসংহত ও সুদৃঢ় করে নিয়েছে । এখানকার মনোমুগ্ধকর সারি সারি প্রবাল আর চারদিকে জলরাশির উপর সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউ প্রকৃতিপ্রেমীদের হদয়ে সীমাহীন আনন্দের দোলা দেয়। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্য়টন কেন্দ্র হিসেবে অর্থনীতিতে এ দ্বীপের অবদান অনস্বীকার্য। পাশাপাশি এ দ্বীপের নারিকেল গাছ, বিভিন্ন দুর্লভ প্রাণী, সামুদ্রিক জলজ প্রাণী এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ বাংলাদেশের অর্থনিীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ দ্বীপে প্রচুর চুনা পাথর ও নুড়িপাথর রয়েছে।
জীববৈচিত্র রক্ষায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ দ্বীপের প্রবাল সমুদ্রের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ প্রাণীর বসতি ও খাবার যোগায়। প্রবাল দেখতে চুনাপাথরের মতো। এ প্রবাল জাম প্রাচীর গড়ে তোলে। আশ্রয় দেয় সাগরতলেরর নানা উদ্ভিদ ও শৈবালকে, অভয়ারাণ্য হয়ে থাকে মাছসহ সব প্রাণীর। মধ্য এপ্রিল থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে যখন সমুদ্র শান্ত এবং জোয়ার ভাটার মাত্রা অনুকূ্লে থাকে তখন স্থানীয় লোকজন প্রবাল সংগ্রহ করে। প্রধানত চার ধরণের প্রবাল সংগ্রহ করা হয়।
স্থানীয় ভাষায় এদের নাম হয়ে থাকে পাতাফুল, গাছফুল, শৈবাল ও মগ, বাহারী অলংকনের উদ্দেশ্যের প্রবাল এর ব্যবহার সর্বোচ্চ । এরা সমুদ্রে অক্স্রিজেনও যোগায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র, আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র, প্রবালের সমৃদ্ধি, সমুদ্রে অক্সিজেন সরবরাহ, মাছের অভয়রাণ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদানসহ নানা কারণে সেন্ট মার্টিন তথা প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে অনস্বীকার্য।
Saturday, December 14, 2024
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতিতে প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment